Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Kutial merchants silk cocoon drawing machine
Location

১নং ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদ। ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

Transportation

ভোলাহাট উপজেলা হতে পশ্চিমে মাত্র ১.৫ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত। রিক্সা যোগে বা অটো যোগে যাওয়া যায়। ভাড়া মাত্র ১৫-২০ টাকা।

Contact

অফিসার ইনচার্জ, ভোলাহাট থানা

01713 373823

Details

  ভোলাহাট উপজেলার আরো কিছু ঐতিহাসিক পূরাকীর্তি রয়েছে। ভোলাহাট সদর গ্রামে রেশম বিজাগারের আশেপাশে এগুলির অবস্থান। ইংরেজ বেনিয়ারা এদেশ থেকে বিদায় নিলেও তাদের শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত কিছু স্মৃতি আজো কৌতুহলী মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তেমনই একটি উল্লেখযোগ্য বস্ত্ত হলো নীল কুটিয়ালদের নীল প্রক্রিয়াজাত করণ মতান্তরে রেশম গুটি ড্রাইং কাজে ব্যবহৃত একটি বয়লার। এছাড়া বীজাগার অভ্যন্তরে রয়েছে একটি আকাশ চুম্বি সুউচ্চ থাম বা ধুঁয়া নির্গত হওয়ার চিমনি। একে স্থানীয় জনগণ বানকের চিমনি বা বনিকের চিমনি বলে থাকে। এই বানকের বা বনিকের চিমনি ছিলো তৎকালীন রেশম সূতা উৎপাদন মতান্তরে নীল উৎপাদনের কারখানা। কারখানার আসবাবপত্র গুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও আজো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ইংরেজদের শোষনের শেষ চিহ্ন বানক বা বনিকের চিমনি। আছে ইংরেজদের কুঠিবাড়ী। বর্তমান ভোলাহাট থানা-পুলিশের ভবন এককালে ছিলো ইংরেজদের কুঠিবাড়ী। ১৯২৮ সালে ভোলাহাট থানা-পুলিশের কার্যালয় ভবনের জন্য এ্যাকুয়ার করে নেয়া হয়। থানায় কি পূর্বে নীল চাষাবাদ হতো এনিয়ে জনগণের নানা প্রশ্ন রয়েছে। এলাকার ভৌগলিক অবস্থান আর রেশম চাষের বিভিন্ন আলামত দেখে অনেকে বলছেন, এখানে রেশম ছাড়া কখনই নীল চাষ করা হয়নি। কেউ কেউ বলছেন, রেশমের পাশাপাশি ইংরেজদের চাপে নীল চাষও করা হতো। তবে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার প্রখ্যাত লেখক কমল বসাক ‘ভ্রমণে ও দর্শনে মালদহ’ নামক বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬৭৬ খ্রী: থেকে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ইংরেজ কর্মচারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে তৎকালীন মালদহ এসে রেশমের কুটি নির্মাণ করেন। সে সময় ইংরেজ বাজার পরিণত হয় প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইংরেজ বাজার বর্তমানে ভারতের মালদহ জেলার একটি থানা এবং তা ভোলাহাট সংলগ্ন। এ থানায় ঐতিহাসিক গৌড়ের অনেক ধ্বংসস্ত্তুপ ও দর্শনীয় স্থান। সে হিসেবে আমরা ধরে নিতে পারি যে, ভোলাহাট কুঠিবাড়ী, চিমনী ও বয়লার সে সময়ের তৈরী। ফের একই বইয়ে একস্থানে শ্রী কমল বসাক উল্লেখ করেছেন যে, ১৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে এ জেলায় ইংরেজদের ২৭টি নীল কুটি ছিলো। তিনি এ বইয়ে পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করেননি যে মালদহে কোথায় কোথায় নীল কুটি ছিলো। বিষয়টি বিতর্কিত বটে। তবে ভোলাহাট উপজেলার পুরনো লোকজনের মতেও এর আলামতগুলি থেকে এ যুক্তিতে সহজেই উপলব্দি হওয়া যায় যে, এখানে আদৌতেও নীল চাষ হতো না।