Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Shah Sufi Sahabuddin (ra :) Sultani Mazar
Location

১নং ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদ। ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

Transportation

উপজেলা চত্তর থেকে রিকশাযোগে বা অটোরিকশায় যেতে হবে। রিকশা ভাড়া ১০ টাকা অটোরিকশা যোগে ৫ টাকা জন প্রতি।

Contact

অফিসার ইনচার্জ, ভোলাহাট থানা

01713 373823

Details

   আর সূফী-সাধক ভোলাহাটে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তার নাম শাহ্ সুফী সাহাবুদ্দিন (রা:) সুলতানী। জানা গেছে, প্রায় ৩’শ বছর পূর্বে তিনি পাগল বেশে পাকিস্থানের সুলতান থেকে একটি ঝোলা ও লাঠি (হাতের আশা) নিয়ে ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা গ্রামের বক্সি মন্ডলের বাড়ীতে এসে আশ্রয় নেন। তিনি ৪৫/৪৬ বছর বয়সে ইহজগৎ ত্যাগ করেন। তিনি জিগির-আসগর করতেন। হযরত সাহাবুদ্দিন শাহের বেশকিছু আলামত দেখে এলাকাবাসী কামেল ফকির হিসেবে চিহ্নিত করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি বেশকিছু কেরামতি দেখিয়ে যান, তন্মধ্যে- মাটিতে হাত চেপে পানি বাহির করা, চুলায় পাঁ ঢুকিয়ে রান্নাবান্নার খড়ি-লাকড়ির মত দাউ দাউ করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া, মাটির ঢ্যালাকে গুড়ে রুপান্তরিত করা, পা কুড়াল দিয়ে দ্বিখন্ডিত করে সঙ্গে সঙ্গে জোড়া লাগানো এবং গভীর রাতে পুকুরে নেমে পেট ফেড়ে নাড়িভুড়ি পরিস্কার করা। এ ছাড়া তিনি যেদিন বেলা ৮টার সময় ইন্তেকাল করেন, সেদিন তাকে ঝাউবোনা গ্রামের কয়েকজন লোক মালদহ শহরে দেখেন এবং তারা কথাও বলেন তার সাথে। পরে ঐ লোকগুলি ফের ভোলাহাট ঝাউবোনায় এসে জানতে পারেন যে সাহাবুদ্দিন শাহ্ ইন্তেকাল করেছেন। বিষয়টি ব্যাপক জানাজানি হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও তিনি মৃত্যুর পূর্বে বলে যান যে তার লাসের নামাজে জানাজা অজ্ঞাত এক মাওলানা যিনি কালো পোষাক পড়ে আসবেন তিনি পড়াবেন। ঠিক তেমনিই ঘটনা ঘটেছিলো বলে কথিত আছে। তাকে তাঁতীপাড়া গ্রামের দক্ষিণে ধরমপুর মৌজায় তৎকালীণ জঙ্গলে দাফন করার সময় এক অজ্ঞাত মাওলানা কালো পোষাকে এসে জানাজা পড়ান। দাফনের সময় আকাশ থেকে সৌরভী ফুল বর্ষিত বলে কিংবদন্তী রয়েছে। তিনি মৃত্যুর পূর্বে বলে যান যে ঝাউবোনা ও তাঁতীপাড়ায় মহামারী আকারে কোন রোগ-বালাই বা বালা-মসিবত আসবেনা। ঠিক তাই হয়েছে। এ যাবৎকালে উল্লেখিত গ্রাম দু’টিতে মহামারী রুপে কোন বালা-মসিবত আসেনি বলে গ্রামবাসী জানায়। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার চন্দন কাঠের তার হাতের আশা (লাঠি) যা ২৬ গুটি কালো রঙ্গের (গোড়া মোট ও আগাল ক্রমস চিকন) এবং একটি ফকিরী (সন্ন্যাসী) ঝোলা রেখে যান। যা এখনো ঐ মাজারের খাদেম ঝাউবোনা গ্রামের সোনা পোদ্দার নামে লোকের নিকট রক্ষিত আছে। এটি ঝাউবোনা গ্রামের পশ্চিমে হযরত শাহাবুদ্দিন শাহ্ মুলতানী(রাঃ) এর মাজারে রক্ষিত এবং এটি তার কবরের উপর স্থাপিত। এ ম্যল্যবার শিলালিপিটিও গত ২৪ এপ্রিল ২০০৩ তারিখে চুরি যায়। চোরেরা তা নিয়ে যেতে না পারায় তা মাজার সংলগ্ন ইন্দারার ধারে ফেলে যায়। পরে তা উদ্ধার করে পূর্বোক্ত স্থানে পুণরায় স্থাপন করা হয়েছিলো। ২০০৭ সালে আবার লিপিটি চুরি হয়ে গেছে। এ লিপিটি গোহালবাড়ী মসজিদে রক্ষিত উপরের লিপিটির অনুরূপ। এতে সুরা ‘সফ’ পারা নং-২৮, সুরা নং-৬১, আয়াত নং-১৩ এবং সুরা রা’দ, পারা নং-১৩, সুরা নং-১৩, আয়াত নং-১৩ উৎকীর্ণ রয়েছে।

বীরেশ্বরপুর কাঁঠালতলা ওয়াক্তিয়া মসজিদেও এরূপ আরো একটি শিলালিপি রয়েছে। উল্লেখিত শিলালিপি গুলি সম্ভবত গৌড় নগরীর কোন মসজিদের এবং গৌড় হতেই আনিত। এ ছাড়াও ঐতিহাসিক এম.আবিদ আলী খান মালদহী ও রজনীকান্ত চক্রবর্তীর বর্ণনানুযায়ী আরো ২টি শিলালিপির অস্তিত্ব ভোলাহাটে থাকার কথা। ৯১০ হিজরী, ১৫০৪-৫ ঈশায়ী সালের আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্-এর সময়ে (আরবী ও ফার্সী শিলালিপি) । এ শিলালিপিটি গিলাবাড়ীস্থ মোস্তফা খানের মসজিদে পাওয়া যায়। এ শিলালিপি গুলিতে একটি ফটক নির্মাণের কথা উল্লেখিত ছিলো। বর্তমানে এ লিপিটি কোথায় তা জানা যায়নি।

অনুরূপ আরো একটি রিপি ৯২৩ হিজরী, ১৫১৭ খ্রী: আলাউদ্দির হোসেন শাহ্ এর আমলে দওলত নাজিরের মসজিদে স্তাপিত ছিলো। এটিও গিলাবাড়ীতে পাওয়া যায়। মসজিদটি দৌলত নাজির নামক এক খোজা ব্যক্তি নির্মাণ করে যান। এতে মনে করা হয়, এ মসজিদটিও গিলাবাড়ীতে স্থাপিত ছিলো। যা কালের গ্রাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে এ প্রস্থর লিপিটি কোথায় তা জানা যায়নি।