Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গোলাম রসুল পীরপাল ওয়াকফ এস্টেট, যাদুনগর জামে মসজিদ
স্থান

১নং ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদ। ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

কিভাবে যাওয়া যায়

ভোলাহাট উপজেলা হতে পশ্চিমে মাত্র ১ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত। রিক্সা যোগে বা অটো যোগে যাওয়া যায়। ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা।

যোগাযোগ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার

01709-988579

বিস্তারিত

এ মসজিদটি ১নং ভোলাহাট ইউনিয়নের যাদুনগর গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে আম্রকাণনে অবস্থিত। মসজিদটি বহু প্রাচীন। এর ভিত্তি ৩২ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য অভ্যান্তরভাগ ২৮ ফুট ১ ইঞ্জি, প্রস্থ ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি। ৪টি খিলান স্তম্ভের উপর ৩টি গম্বুজ স্থাপিত। ৪টি দেয়াল অভ্যান্তরভাগে সংযোজিত খিলানের ক্ষেত্রফল ৩২ ইঞ্চি। উত্তর-দক্ষিণে ২টি জানালা। পূর্বে ৩টি দরজা। প্রতিটি নিলটেইলের পাথর বসানো। মধ্যের দরজার নিলটেইলের উপর নকশা কাটা রয়েছে। অপর দু’প্রান্তের দু’দরজার নিলটেইলের উপর সুন্দর বাংলোর সাদৃশ্য ডিজাইন রয়েছে। যা দেখার মত। মূল গম্বুজের ভিতরাংশ নকশা কাটা চতুর্দিকে পান আকৃতির অলংকরণ শোভা পাচ্ছে। মসজিদটির ৪ কর্ণারে ৪টি অপেক্ষাকৃত সরু বুরুজ, পশ্চিম-পূর্ব দেয়ালের মধ্যভাগে আরো ২টি করে ৪টি চিকন বুরুজ বিদ্যমান। মধ্যস্থানের গম্বুজটি গোলাকৃতির এবং বড়। এর দু’প্রান্তে দু’টি গম্বুজ অপেক্ষাকৃত ছোট ও চৌকোণা চৌডালার মত। মসজিদটিতে কোন শিলালিপি নেই। তবে একটি শিলালিপি ১৯৭৮ সালে প্রত্নতত্ব বিভাগ খুলে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ফলে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। তবে মসজিদটি যে নবাবী আমলের গঠন শৈলিই প্রমাণ করে। মসজিদটির নাম পীরপাল হলো কেন? এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। জানা গেছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালনের জন্য সুলতানী আমল হতে নাকি সরকারীভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা বা ভূমিদান করা হতো খরচ নির্বাহের জন্য। একে বলা হতো পীরপাল লাখে রাজ।

শিয়া সম্প্রদায়ের রীতিনীতি আজো কোন কোন সুন্নী পরিবারে বেশ মুখর। মহরমের তাজিয়া চল্লিশা কোথাও কোথাও ব্যাপকভাবে দেখা যেতো। অষ্টাদশ হতে বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকেও এসব শিয়ায়ী মহরমের আখড়া রাজশাহী তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সর্বত্রই জমজমাট ছিলো। মহরমের ব্যাপারে রাজারা পুরুষানুক্রমে এক বিরাট অংকের অর্থ বরাদ্দ দিতেন। নাটোর জমিদারী নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর অনুগ্রহে অর্জিত হয়েছিলো। তাই নবাবকে খুশি করতে নাটোর রাজা মোটা অংকের অর্থ মহরমের জন্য বরাদ্দ দিতো। আর এ জন্য পীরপাল লাখেরাজ (বিশেষত: নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ এর আমল হতে) নির্দিষ্ট ছিলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু পুর্ব হতে ভোলাহাট উপজেলার সর্বত্রই মহরম বেশ জাক-জমকের সাথে পালিত হতো। যাই হোক, যাদুনগর গ্রামের গোলাম রসুল পীরপাল মসজিদটি ওয়াকফ এস্টেট। এর মোট ২৫ বিঘা জমি ছিলো। এর মধ্যে ১০/১৫ বিঘা জমি বেহাত হয়ে গেছে। উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।