১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভোলাহাটের মাটিতে সর্ব প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় ১৯৬৭ সালে ১৯শে ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে। ভোলাহাট রামেশ্বর পাইরট উচ্চ বিদ্যালয়ের আম তলায় তৈরী করা হয় ঐ শহীদ মিনারটি। স্কুলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইট দিয়ে মাটির গাড়ার সাহায্যে রফিক মিস্ত্রি, মফিজউদ্দিন, লাল মোহাম্মদ মিস্ত্রি ও পেশরাজ গফুর কে দেয়া হয় শহীদ মিনার নির্মানের দায়িত্ব।সার্বিক তত্বাবধানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অজান্তে, অত্যন্ত সর্তকতা মুলকভাবে দায়িত্বে ছিলেন বাহাদুরগঞ্জ গ্রামের ওমর আলী সোনা ও মোঃ তাহাউদ্দিন। ২০ ফেরী ১৯৬৭ সালে স্কুল কর্তৃপক্ষ শহীদ মিনারটি ভেংগে ফেলে। চাপা ক্ষোভ ও টান টান উত্তোজনা নিয়ে আবারো গোপন মিটিং এর মাধ্যমে ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত্রেই ভাঙ্গা শহীদ মিনারটির মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পর শহীদ মিনারটির অস্তিত্ব ছিল কি না জানা যায় নি। পরবর্তীতে ১৯/০৫/১৯৯২ সালে ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গনে আরো একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। এর পর ২০০৩ সালে মোঃ মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সার্বিক তত্বাবধানে ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট ইনস্টিটিউশন মাঠের উত্তর পশ্চিম কর্ণারে একটি সুন্দর কারুকার্য্যে নির্মান করা হয়েছে আরো একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এই মহীদ মিনারের ভিত্তি স্থাপন করেন জাতীয় সঙসদ সদস্য সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন। ভোলাহাটের এ শহীদ মিনারেগুলি শহীদের রক্ত ভেজা অর্ঘের তীর্থ ভূমি হিসেবে পরিগণীত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ শহীদের স্মরণে প্রতিবছরই বিশেষ বিশেষ দিনে একত্রিত হয়ে শ্রদ্ধার অর্ন্তনিংরানো নির্যাসটুকু ঢেলে দেয় শহীদ মিনারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস